জুমার দিনের ইবাদত ও ফযীলত: আয়াত, হাদীস এবং বিস্তারিত আলোচনা
জুমার দিনের ফযীলত
জুমার দিন, বা শুক্রবার, ইসলামে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দিন। এটি মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ ঈদের মতো, যেখানে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গঠন, ইবাদত ও দোয়া করার মাধ্যমে রহমত ও মাগফিরাত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অতিরিক্ত ইবাদত করা, দোয়া করা এবং অন্যান্য সৎ কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“হে মুমিনরা! যখন শুক্রবারে সালাতের জন্য আযান শোনা যাবে, তখন আল্লাহর স্মরণে বিরত হও, এবং বাণিজ্য বন্ধ করো। এটি তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যদি তোমরা জান।”
(সূরা আল-জুমা, 62:9)
রাসুল (সা.) এর হাদীস
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালভাবে গোসল করবে, সেরা পোশাক পরবে, নামাজের জন্য আগে যাবে, খুশির সাথে নামাজ পড়বে, আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করবেন।”
(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস নং 883)
এছাড়া আরেকটি হাদীসে তিনি বলেছেন:
“জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন যদি কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তবে আল্লাহ তাকে তা দেয়।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 852)
জুমার দিনের করণীয় ইবাদত
- জুমার সালাত (দুই রাকাত ফরজ নামাজ)
- দুরুদ শরীফ পাঠ
- কুরআন তিলাওয়াত (বিশেষত সূরা আল-কাহ্ফ )
- দোয়া করা (জুমার দিনে বিশেষ দোয়া গ্রহণের সময়)
“জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন আল্লাহ তার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 852)
জুমার দিনের দোয়া
জুমার দিনে একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করা যেতে পারে:
اللهم اجعل يوم الجمعة يوم فوزٍ لنا، واغفر لنا ولأهلنا، اللهم آمين
(হে আল্লাহ! আমাদের জন্য জুমার দিনকে সফল দিন বানাও, আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে ক্ষমা কর, আমিন।)
0 Comments